লেখকের জীবনাবসান।

ফাইল চিত্র,

নন্দীগ্ৰামের এক প্রত্যন্ত গ্ৰাম থেকে মহানগর কলকাতার বুকে সর্বত্র তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ। পেশায় শিক্ষক হলেও নেশা ছিল সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখা আর সাহিত্য চর্চা। আর ছিল আঞ্চলিক ইতিহাসের প্রতি তাঁর গভীর টান। নিজের জন্মভূমিকে ভালোবেসে, নিজের জেলাকে ভালোবেসে লিখেছেন অনেক। তাঁর সেসব লেখা ছড়িয়ে আছে জেলা ও জেলার বাইরের নানান ছোট-বড় পত্র-পত্রিকা লিটল ম্যাগাজিনের পাতায়। তাঁর লেখায় ধরা পড়তো তাঁর স্বজাতি মাহিষ্যদের প্রতি তাঁর মমত্ব বোধ আবার তাঁরই লেখায় উঠে এসেছে ঐতিহ্যবাহী ভূখন্ড নন্দীগ্ৰামের প্রতিবাদী মানুষের গৌরবময় নানান ইতিহাস‌ । মেদিনীপুরের আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একটি পরিচিত নাম । তাঁর লেখা – সাম্যবাদী আন্দোলনে মেদিনীপুর, দেবদেবীর পীঠস্থান, মন্দিরময় নন্দীগ্ৰাম ( পরবর্তীকালে পুস্তকটির নতুন সংস্করনে নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় ) অতীতে সংগ্ৰামী নন্দীগ্ৰাম, সাগরজননী বাসুলী মাতার ইতিকথা ইত্যাদি পুস্তকগুলি নন্দীগ্ৰাম ও মেদিনীপুরের আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাকারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তিনি শুধু ঠান্ডা ঘরে বসে তত্ত্ব-তথ্য সংগ্ৰহ ও নির্বাচন করে তাঁর পুস্তকগুলি সাজিয়ে তোলেন নি তাঁর রচিত বইগুলির পাতা ওল্টালেই মাঠে-ঘাটে, গ্ৰামে -গ্ৰামে ঘুরে ‘ফিল্ড স্টাডি’ করে তথ্য সংগ্ৰহে তাঁর অধিকতর আগ্ৰহের প্রবনতাটি লক্ষ্য পড়বে সচেতন পাঠকদের। দীর্ঘকাল সম্পাদনা করেছেন আঞ্চলিক ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য ‘ সংগ্ৰামী নন্দীগ্ৰাম ‘ পত্রিকাটি। শেষের কয়েক বছর অসুস্থ থাকায় পত্রিকাটি অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল।
আজ সকাল ৯ টা ৫২ মিনিটে তাঁর প্রয়াণ ঘটে নন্দীগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে। সুসংগঠক, প্রাক্তন কৃতি শিক্ষক, সুসাহিত্যিক ও জনপ্রিয় ইতিহাসকার কানাইলাল দাস বাবুর প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ সমগ্রর নন্দীগ্রাম।


আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

1 thought on “লেখকের জীবনাবসান।”

Leave a Reply to Manik Cancel Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *