করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধাকে ফেলে চম্পট।

ফাইল চিত্র।

দীর্ঘদিনের জন্মগত সম্পর্কের ইতি টানলো করোনা। এরকমই এক উদাহরণ এর সাক্ষী রইল সমুদ্র সৈকত তাজপুর। বৃহস্পতিবার বিকালে এক বৃদ্ধা বসে রইলেন সমুদ্র সৈকত তাজপুরে। মুখ ও নাক দিয়ে ঝরছে লালা, হাতে রয়েছে সেলাইন এর চ্যানেল। বিকেল থেকে বসে রইলেন এক বছর সত্তরের বৃদ্ধা নিজ নাতির অপেক্ষায়। এরকম অমানবিক চিত্র দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত তাজপুর এলাকায়। দীঘা-তাজপুর সমুদ্র সৈকতে মেরিন ড্রাইভে বসে থাকা ওই বৃদ্ধাকে অনেকক্ষণ বসে থাকতে দেখেন এলাকার স্থানীয় মানুষ জন।

• 

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরে মানুষের মনে কৌতূহল জন্মায় ভিড় জমতে থাকে ওই জায়গায়। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে সাহস করে কেউ এগিয়ে আসতে পারেননি তার কথা জানার জন্য। এর কারণ একটি হাতে সেলাইন এর চ্যানেল রয়েছে সেই সঙ্গে নাকও মুখ থেকে লালা বের হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে এলাকার কিছু লোক বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। জানতে পারা যায় তিনি কলকাতার শ্যামবাজারের বাসিন্দা, নাতির সাথে গাড়ি করে এসেছিলেন। নাতি গাড়ি থেকে নামিয়ে ওই জায়গায় বসিয়ে বলে জায় একটা জিনিস কিনে তাড়াতাড়ি ফিরে আসছি, তারপর আর ফিরে আসেনি নাতি। এর পর এলাকার লোকজন খবর পাঠান মন্দারমনি কোস্টাল থানায়। পুলিশ ঐ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ দিঘা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে । পুলিশ ঐ বৃদ্ধার আসল পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে পরিবারের লোকজন দের খুঁজে পাওয়া যায়।

মেদিনীকথা গ্রুপের তরফ থেকে সকল পূর্ব মেদিনীপুরবাসী, শুভানুধ্যায়ী ও সদস্যদের অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনারা সকলে সচেতন হোন, উপযুক্ত সুরক্ষা গ্রহণ করুন এবং সর্বোপরি যে সকল মানুষজন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বা পূর্বে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের প্রতি সহনশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ অবলম্বন করুন। মনে রাখবেন এই মরণ রোগে আক্রান্ত মানুষজন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের শরীরের এই রোগকে আহ্বান করছেন না। এই সকল মানুষজন কোনো না কোনো জরুরি কার্য সম্পাদন করবার তাগিদে বা নিজের পরিবারের অন্নসংস্থানের তাগিদে নিজেদের গৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই এই সকল ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণবিধি অবলম্বন করুন। সকলের সুস্থ থাকুন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং অপরকে সৌভ্রাতৃত্বের শহীদ সচেতন করুন।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

•