
মাস্টারদা সূর্য সেন
বিপ্লবী সূর্য সেন নাম শুনলেই মনে পড়ে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা,জালালাবাদের যুদ্ধ প্রভৃতি দুঃসাহসী ঘটনার কথা।আজও চট্টগ্রামের অগণিত মানুষ সূর্য সেনকে মনে রেখেছেন,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক বীরযোদ্ধা ও উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে ।
জন্ম: ২২ শে মার্চ ১৮৯৪ সাল
নোয়াপারা, রাউজান উপজেলা, চট্টগ্রাম,
আত্মবলিদান : ১২ ই জানুয়ারি ১৯৩৪ সাল
সূর্য সেন বা সূর্যকুমার সেন যিনি মাস্টারদা নামে সমধিক পরিচিত। তাঁর ডাকনাম ছিল কালু। ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং নিজ জীবন বলিদান করেন। সূর্যসেনের বাহিনী কয়েকদিনের জন্যে ব্রিটিশ শাসনকে চট্টগ্রাম এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সূর্য সেনের অন্যতম সাথী বিপ্লবী অনন্ত সিংহের ভাষায় "কে জানতো যে আত্মজিজ্ঞাসায় মগ্ন সেই নিরীহ শিক্ষকের স্থির প্রশান্ত চোখ দুটি একদিন জ্বলে উঠে মাতৃভূমির দ্বিশতাব্দীব্যাপি অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হবে? ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ দমনের জন্য বর্বর অমানুষিক অত্যাচারের প্রতিশোধ, জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ! কে জানতো সেই শীর্ন বাহু ও ততোধিক শীর্ন পদযুগলের অধিকারী একদিন সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ রাজশক্তির বৃহত্তম আয়োজনকে ব্যর্থ করে - তার সমস্ত ক্ষমতাকে উপহাস করে বৎসরের পর বৎসর চট্টগ্রামের গ্রামে গ্রামে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলবে?"
সূর্য সেনের জন্ম সময় নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে।অনেকে বলে থাকেন যে,১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে অক্টোবর সূর্য সেন সূর্যের মুখ দেখেছিলেন।আবার কেউ কেউ বলেন, না ,১৮৯৪ সালের ২২ শে মার্চ সূর্য সেনের জন্ম হয়েছিল।বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার ২২ শে মার্চ তারিখটিকেই জন্ম তারিখ হিসাবে সমর্থন করেছেন।
সূর্য সেন ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম রাজমনি সেন এবং মায়ের নাম শশী বালা সেন। রাজমনি সেনের দুই ছেলে আর চার মেয়ে। সূর্য সেন তাদের পরিবারের চতুর্থ সন্তান। দুই ছেলের নাম সূর্য ও কমল। চার মেয়ের নাম বরদাসুন্দরী, সাবিত্রী, ভানুমতী এবং প্রমিলা। শৈশবে পিতা মাতাকে হারানো সূর্য সেন কাকা গৌরমনি সেনের কাছে মানুষ হয়েছেন।
সূর্য সেন ছেলেবেলা থেকেই খুব মনোযোগী ও ভাল ছাত্র ছিলেন এবং ধর্মভাবাপন্ন গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন।ছােটো থেকেই ভালােবাসতেন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে।একা ঘুরে বেড়াতেন সমুদ্র সৈকত ধারে।তার চোখে চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র।পাঁচ বছর বয়সে রাজমণি সেনের মৃত্যু হয়। সূর্য সেন বড়াে হয়ে ওঠেন কাকা গৌরমণি সেনের আদর এবং শাসনে। ছােটো থেকেই দুষ্ট স্বভাবের বালক ছিলেন। বন্ধুদের সাথে হৈ - হুল্লোড় করে বেড়াতেন। শহরের লােকেরা তাঁর নামে যখন তখন নালিশ করত। আবার তারা ভীষণ ভালােবাসত বালক সূর্য সেনকে। কারাে দুঃখে চুপ করে বসে থাকতে পারতেন না। পকেটের পয়সা করে ভিখারির হাতে তুলে দিতেন। ভালােবাসতেন সকলকে। মনুষ্যতর প্রাণীদের প্রতিও ছিল সূর্য সেনের বুকভরা ভালােবাসা। বয়স্করা বলতেন, সূর্য বড়ো হয়ে একদিন দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করবে। সত্যি তাদের এই ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়েছিল।
বালক সূর্যকে প্রথমে ভরতি করে দেওয়া হয় গ্রামের দয়াময়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের পরিবেশ সূর্য সেনের খুব একট ভালাে লাগেনি।এর পর সূর্য সেন এলেন হরিশ দত্তের জাতীয় স্কুলে। এই স্কুলের পরিবেশ তার ভালাে লাগল। মাস্টার মশাই এবং ছাত্রদের মধ্যে সুসম্পর্ক আছে। মাস্টার মশাইরা পাঠ্য বইয়ের বাইরের বিষয়বস্তু নিয়ে আলােচনা করেন। এই স্কুলে পড়তে পড়তে সেদিনের কিশাের সূর্য সেন পরাধীন ভারতবর্ষের অনেক গল্প জানতে পেরেছিলেন। দেশ জুড়ে চলেছে শােচনীয় অবস্থা। সাধারণ মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছে না। দারিদ্রতার কষাঘাতে দিশেহারা। একদল মানুষ আনন্দ স্ফুর্তিতে জীবন কাটাচ্ছে। সাত সাগরের পার থেকে উড়ে এসে সাহেবরা ভারতকে শাসন করছে। নানা জায়গায় দেখা দিয়েছে আঞ্চলিক বিক্ষোভ। কিন্তু সেই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারছে না। উপযুক্ত নেতার অভাব। সেদিনের কিশাের সূর্য হয়তাে তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে একজন জাতীয়নেতা হয়ে উঠবেন। ১৯১২ সালে এন্ট্রাস পরীক্ষা পাশ করলেন। ভরতি হলেন চট্টগ্রাম কলেজে।
এখানেই শুরু হল তার নতুন জীবন।এই সময় তার জীবনে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে যায়। ১৯১৪ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বার্ষিক পরীক্ষা চলেছে। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে অনেকক্ষণ । সূর্য সেন হন্তদন্ত হয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকলেন। কোনােদিকে না তাকিয়ে তাড়াহুড়াে করে পরীক্ষকের কাছ থেকে খাতা এবং প্রশ্নপত্র নিয়ে লিখতে বসে গেলেন । বাড়ি থেকে বেরােতে দেরী হয়ে গিয়েছিল। তাই এই সমস্যা। মাথা গুজে একমনে লিখতে শুরু করেছেন সূর্য সেন। তখন পরীক্ষক এসে সামনে দাঁড়ালেন। সূর্য সেনকে উঠে দাঁড়াতে বললেন। বললেন , তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না । কারণ সূর্য সেন ডেস্কের বই থেকে দেখে দেখে লিখছেন। উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সূর্য সেন লক্ষ্য করলেন, সত্যি ডেস্কের ওপর বই রয়েছে । তাড়াতাড়ি করে পরীক্ষায় বসতে গিয়ে হাতের বইগুলাে বাইরে রেখে আসতে ভুলে গেছেন তিনি । সূর্য সেন নিজের অসাবধানতার কথা বারবার বলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু পরীক্ষক তার কোনাে কথাই কানে তুললেন না। সূর্য সেনকে পরীক্ষা দেবার সুযােগ দেওয়া হল না। উল্টে তার বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হল, বলা হল , তিনি অসাধুতার আশ্রয় নিয়েছেন। তাকে কলেজ থেকে বিতাড়িত হতে হবে। অভিভাবকরা মাথায় হাত দিয়ে বসলেন। হিতৈষীরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেভাবেই হােক একটা নকল সার্টিফিকেট জোগাড় করে অন্য কলেজে ভরতি হতে হবে। সূর্য সেন কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি হলেন না। তিনি কিছুতেই অসাধু উপায় গ্রহণ করতে পারবেন না। একদিন হঠাৎ চলে এলেন মুর্শিদাবাদে। বহরমপুর কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করলেন , সমস্ত ঘটনা গুছিয়ে বললেন। উনিশ - কুড়ি বছরের একটি ছেলের সৎ সাহস দেখে মুগ্ধ হলেন অধ্যক্ষ। তিনি বিনা দ্বিধায় ছেলেটিকে নিজের কলেজে ভরতি করে নিলেন। এই ছেলেটি অর্থাৎ সূর্য সেন ১৯১৭ সালে বহরমপুর কলেজ থেকে সসম্মানে বি এ পাশ করে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে।
সূর্য সেন কৈশাের কালেই বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। যখন তিনি জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র , তখন অম্বিকা চক্রবর্তী সহ আরও কিছু বিপ্লবী নেতার সংস্পর্শে আসেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন হেমেন্দ্রলাল। তিনি ছিলেন বরিশাল যড়যন্ত্র মামলার পলাতক আসামি।তাঁর সংস্পর্শে এসে সূর্য সেন জাতীয়তাবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। সূর্য সেন বুঝতে পেরেছিলেন যে ,তাকে চরিত্র গঠন করতে হবে। কঠিন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।বহরমপুর কলেজের অধ্যাপক ছিলেন বিশিষ্ট বিপ্লবী নেতা সতীশ চক্রবর্তী। তার সংস্পর্শে এসে সূর্য সেন আরও প্রজ্ঞাবান হয়ে ওঠেন। বিপ্লব মানে যে একটা সর্বাত্মক চেতনা,এমন একটা ধারণার জন্ম হয় সূর্য সেনের মধ্যে। হটকারী সিদ্ধান্তের দ্বারা বিপ্লবকে দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়।তখন থেকেই সূর্য সেন ভবিষ্যতে বিপ্লবী হবার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন।
স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর ফিরে এলেন নিজের গ্রামে। যােগ দিলেন উমাতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রিয় বিষয় ছিল অঙ্ক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক মনে অঙ্ক কষতেন। নিছক জীবিকার তিনি শিক্ষকতাকে নেননি। চেয়েছিলেন এমন একদল অনুগামী ছাত্রসমাজ তৈরি করতে, যাদের অন্তরে বিপ্লবের অগ্নিশিখা অনির্বাণ থাকবে। তাদের চোখের তারায় আঁকা হবে ভবিষ্যৎ ভারতের স্বপ্নের দিশা। এই কাজে সূর্য সেন অনেকটা সফল হয়েছিলেন। আন্তরিক ব্যবহারের জন্য তিনি অল্প দিনের মধ্যেই সকলের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠলেন। ছাত্ররা তখন তাকে মাস্টারদা নামে সম্বােধন করছে।ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের সর্বত্র মাস্টারদার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল।
সময় এবং সুযােগ পেলেই তিনি সমাজ সেবার কাজে আত্মনিয়ােগ করতেন। চট্টগ্রাম সমুদ্রোপকূলবর্তী শহর , মাঝে মধ্যে এখানে সামুদ্রিক ঝড়ের তাণ্ডব লক্ষ্য করা যায়। হাজার হাজার মানুষকে গৃহহীন হতে অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে বাধ্য হয় । সূর্য সেন এসব বন্যা এবং ঝড়ের দ্বারা আক্রান্ত মানুষদের জন্য ত্রাণ কমিটি খুললেন। যখনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর পেতেন ,তখনই সেখানে ছুটে যেতেন। সেই বয়েসেই সূর্য সেন বুঝতে পেরেছিলেন যে ,সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া ব্রিটিশদের দেশচ্যুত করা সম্ভব নয়। অহিংসার পথে কখনােই আমরা অভীষ্ট লাভ করতে পারব না। এবার সূর্য সেন অনুগামী হিসেবে একদল তরুণ এবং যুবককে সঙ্গে পেলেন , রাখাল দে , সুখেন্দু দত্ত , যতীন রক্ষিত , গণেশ ঘােষ , অনন্ত সিংহ , নির্মল সেন , অম্বিকা চক্রবর্তী , গিরিজাশঙ্কর চৌধুরী , চারুবিকাশ দত্ত , রাজেন দাসদের প্রমুখ ব্যক্তিদের।
১৯১৭ সালে তিনি অনুশীলন সমিতি এবং যুগান্তর সমিতির আদর্শে চট্টগ্রামে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংস্থা গড়ে তুললেন। এই সংস্থার কাজ হল নিয়মিত অস্ত্রশস্ত্র শিক্ষা করা। শুধু তাই নয়, এই সংস্থার সদস্যরা মন্ত্রগুপ্তির পথে দীক্ষিত হতেন। দেশের স্বার্থে জীবন উৎসর্গ করার কথা ঘােষণা করতেন । সূর্য সেন ছিলেন এই সংস্থার সর্বময় কর্তা। অত্যন্ত দক্ষ প্রশাসক ছিলেন তিনি। নিজের জীবনে যা কিছু উপার্জন করেছেন,সব দান করেছেন ওই সংস্থার জন্য। স্কুলে কাজ সময়,চাপে পড়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম পুষ্পকুন্তলা দেবী। সাধারণ গৃহস্থের মতাে অর্থ সাহায্য করে স্ত্রীকে কোনােদিন সুখী করতে পারেননি। তবে মাস্টারদার বড়াে কৃতিত্ব এই যে,তিনি তার স্ত্রীকেও বিরাট কর্মকাণ্ডের সঙ্গিনী করতে পেরেছিলেন।পুষ্পকুন্তলা হয়ে উঠেছিলেন অনেক বিপ্লবীর একান্ত আত্মীয়। তিনি ছিলেন সূর্য সেনের সহযাত্রিনী।
সূর্য সেন বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ - এর জীবনদর্শনকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করে গেছেন। এই জীবনদর্শন অনুসারে এক বিরাট সংগঠিত বাহিনী গড়ে তুললেন। একটি পর একটি ডাকাতি করা হল। ডাকাতিতে যে অর্থ পাওয়া গেল তা দিয়ে অস্ত্র কেনা হল।
ভারতে ইংরেজ শাসনবিরোধী অরবিন্দ ঘোষ ১৮৯৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে দেশে ফিরে বরোদা কলেজে সহকারী অধ্যক্ষের পদে যোগদান করেন। এ সময় তিনি মহারাষ্ট্র গুপ্ত বিপ্লবী সমিতির নেতা দামোদর হরি চাপেকার এবং রামকৃষ্ণ হরি চাপেকারের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হলেন। তার এবং তরুণ ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্রের তৎপরতায় কলকাতার আপার সার্কুলার রোডের একটি বাড়িতে বাংলার প্রথম গোপন বিপ্লবীদল “অনুশীলন” সমিতি গঠন করা হয়।১৮৯৯-১৯০১ সালে গঠিত এই সমিতির সভাপতি ছিলেন প্রমথনাথ মিত্র এবং কোষাধ্যক্ষ সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ দলে পরে যুক্ত হলেন অরবিন্দের অনুজ বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, যতীন্দ্রনাথ মুখার্জী, যোগেন্দ্র বিদ্যাভূষন প্রমুখ। অনুশীলন সমিতির সদস্যদের লাঠি খেলা, অসি খেলা, ছোরা খেলা, কুস্তি, মুস্টিযুদ্ধ ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া হত। অরবিন্দ ঘোষ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রমুখের চাঁদাতে এই সমিতি চলত।লাঠি খেলা, অসি খেলা, ছোরা খেলায় তৃপ্ত থাকতে অস্বীকার জানিয়ে বারীন্দ্রকুমার ঘোষের নেতৃত্বে একদল বিপ্লবী “অনুশীলন সমিতি” থেকে আলাদা হয়ে “যুগান্তর দল” দল গঠন করে।“অনুশীলন” সমিতি এবং “যুগান্তর” এ দুই দলের শাখা পূর্ব বাংলায় গড়ে উঠে। পুলিন দাসকে ঢাকা অনুশীলন সমিতির অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়।এর সাথে আরো যুক্ত ছিলেন প্রতুল গাঙ্গুলী, কেদারেশ্বর সেন, রবি সেন প্রমুখ। পশ্চিম বাংলার মানিকতলায় বিপ্লবীদের বোমার কারখানা আবিস্কারের পর অরবিন্দ ঘোষসহ অনেক বিপ্লবীদের আলিপুর বোমা মামলায় জড়ানো হয়।১৯০৭ সালে ঐ মামলার পলাতক কিছু আসামী গোপনে পালিয়ে চট্টগ্রাম আসেন। এসময় তাদের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে চট্টগ্রামে প্রথম বিপ্লবী সংগঠনের জন্ম হয়। যামিনী সেন, মণীন্দ্র সেন আর অম্বিকা চক্রবর্তী প্রমুখ ছিলেন এই সংগঠনের সদস্য। এই বিপ্লবী সংগঠনের সদস্যরা কলকাতা থেকে গোপনভাবে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা এবং ইস্তেহার চট্টগ্রামে বিলি করতেন। সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য অস্ত্র এবং বিস্ফোরক তাদের হাতে ছিল না।
সূর্য সেনের বিপ্লবী জীবনের সবথেকে বড়াে কৃতিত্ব হল,চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন। যেজন্য তিনি ইণ্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি গঠন করেছিলেন। তাকে প্রভাবিত করেছিল আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি।
১৯৩০ সালের ১৮ ই এপ্রিল -- আয়ারল্যাণ্ডে ইস্টার বিদ্রোহের দিন। এই দিনটিকেই সূর্য সেন নির্দিষ্ট করলেন অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের জন্য। এই কাজে তিনি যথেষ্ট সফল হয়েছিলেন। মাষ্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহর ৪৮ ঘন্টার জন্য ইংরাজশাসন মুক্ত ও স্বাধীন ছিল। জালালাবাদ পাহাড়ে বিপ্লবীদের মুখােমুখি সংঘর্ষ পরেও তারা টানা শেষ তিন বছর। গেরিলা যুদ্ধ চালিয়েছিলেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের দৃষ্টি থেকে মাষ্টারদাকে আড়ালে রাখার উদ্দেশ্যেই বিপ্লবীরা এই যুদ্ধ চালিয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারের হাত থেকে অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন মাষ্টারদা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। এক জ্ঞাতি ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতায় সূর্য সেনকে ধরা পড়তে হয় । ১৯৩৩ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে। ব্রিটিশ সরকারের আদালতে বিচারের নামে হল প্রহসন। বীর বিপ্লবী সূর্য সেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি সূর্য সেনের ফাঁসি হয়।
ফাঁসির আগের দিন সূর্য সেন প্রিয় দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে একটি মর্মস্পর্শী চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন-......
“ ফাঁসির রজু আমার মাথার ওপর ঝুলছে। মৃত্যু আমার দরজায় কড়াঘাত করছে। এই তাে আমার মৃত্যুকে বন্ধুর মতাে আলিঙ্গন করার সময়। আমার ভাইবােন , তােমাদের সবার উদ্দেশ্যে বলছি ,আমার বৈচিত্র্যহীন জীবনের একঘেয়েমিকে তোমরা দাও, আমাকে উৎসাহ দাও। এই আনন্দময় পবিত্র গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমি তােমাদের জন্য কী রেখে গেলাম, শুধু একটিমাত্র জিনিস, তাহল আমার স্বপ্ন। একটি সােনালি স্বপ্ন। এই শুভ মুহূর্তে আমি প্রথমে স্বপ্ন দেখেছিলাম। উৎসাহ ভরে সারাজীবন তার পেছনে উন্মত্তের মতাে ছুটে ছিলাম। জানি না , এই স্বপ্নকে কতটুকু সফল করতে পেরেছি ।... আমার আসন্ন মৃত্যুর কষ্ট যদি তােমাদের মনকে এতটুকু স্পর্শ করে , তবে আমার এই সাধনাকে তােমরা তােমাদের অনুগামীদের মধ্যে ছড়িয়ে দাও , যেমন আমি ছড়িয়ে দিয়েছিলাম তােমাদের মধ্যে। জয় বন্ধুগণ , এগিয়ে চলাে , কখনও পিছিয়ে যেও না। দাসত্বের দিন যাচ্ছে। স্বাধীনতার লগ্ন আগত , ওঠো , জাগাে। "
শেষ পর্যন্ত সূর্য সেনের সেই স্বপ্ন সফল হয়েছিল । কিন্তু তখন আমাদের ছেড়ে তিনি ভারতের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে অমর আকাশে বিরাজ করছেন.....
মাস্টারদা অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। বর্তমানেও মাস্টারদা ভারত এবং বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত এবং বিপ্লবী হিসেবে জনপ্রিয়। মাস্টারদার বীরত্বগাথা বর্তমান ভারত এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও পড়ানো হয়ে থাকে। মাস্টারদাকে সম্মান জানাতে ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, রাস্তার নাম, বিশ্ববিদ্যালয় হলের নাম আছে৷ কলকাতা মেট্রো মাস্টারদা সূর্য সেনের স্মরণে বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনটির নামকরণ করেছে "মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন"। এছাড়াও, মাস্টারদার নামে উল্লেখ যোগ্য হল গুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ২০১০ সালে মাস্টারদা নামে মাস্টারদা সূর্যসেন হল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মেদিনীকথার তরফ থেকে আজ এই মহান বীর বিপ্লবীর ১২৮ তম জন্মবার্ষিকীতে আমার শ্রদ্ধা ও প্রণাম। 🙏
✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী
(ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার, পূর্ব মেদিনীপুর )
🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in

6 thoughts on “মেদিনীকথার উৎসর্গ মাস্টারদা সূর্য সেন।”
তথ্য গুলো খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা।
ধন্যবাদ 🙏 আপনার এই অমূল্য মতামত প্রকাশের জন্যে। 💐 এইভাবে আমাদের সাথে থাকুন, পাশে থাকুন।
মেদিনীকথা গ্রুপের তরফ থেকে সকল কাঁথি মহকুমাবাসীর জন্য নিয়ে এলো একটি ওয়েবসাইট- https://medinikotha.in
এই ওয়েবসাইটের মূল লক্ষ্য হলো কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত এলাকাগুলির তথ্য যেমন- (স্থানীয় সংবাদ, ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি, পর্যটন, শিল্পকলা, ইত্যাদি) সর্বসমক্ষে তুলে ধরা।
আপনারা আপনাদের পছন্দের কাঁথি মহকুমা এলাকার তথ্য, ঘটনা (ফোটোগ্রাফ ও ভিডিও), আঁকা-ছবি, ছোটোগল্প, অণুগল্প, ছড়া, কবিতা, সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনধর্মী প্রবন্ধ, সরাসরি আমাদের কাছে তুলে ধরতে পারেন। প্রতিবার তথ্য প্রেরণের সময় আপনার নিজের ছবি ও নাম সহযোগে পাঠাতে হবে আমাদের কাছে।
আমরা আপনার প্রেরিত তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে website এ প্রকাশ করবো।
বি: দ্র: – [ কোনো কিছু প্রদানের সময় মনে রাখবেন আপনার প্রেরিত তথ্য যেনো সম্পূর্ণ রূপে আপনারই হয়, পরবর্তী সময়ে আপনার প্রেরিত তথ্য কোনো প্রকার চুরি বা ভুল প্রমাণিত হলে, আইনত সম্পূর্ণ দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে। ]
আমাদের ওয়েবসাইটে কোন প্রকার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত সংক্রান্ত, জাতি ও বর্ণবিদ্বেষ মুলক খবর প্রকাশ করা হয় না।
Dhonnobad eto sundar guruttyapurna tatha deowar jonne
ধন্যবাদ 🙏 আপনার এই অমূল্য মতামত প্রকাশের জন্যে। 💐 এইভাবে আমাদের সাথে থাকুন, পাশে থাকুন।
মেদিনীকথা গ্রুপের তরফ থেকে সকল কাঁথি মহকুমাবাসীর জন্য নিয়ে এলো একটি ওয়েবসাইট- https://medinikotha.in
এই ওয়েবসাইটের মূল লক্ষ্য হলো কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত এলাকাগুলির তথ্য যেমন- (স্থানীয় সংবাদ, ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি, পর্যটন, শিল্পকলা, ইত্যাদি) সর্বসমক্ষে তুলে ধরা।
আপনারা আপনাদের পছন্দের কাঁথি মহকুমা এলাকার তথ্য, ঘটনা (ফোটোগ্রাফ ও ভিডিও), আঁকা-ছবি, ছোটোগল্প, অণুগল্প, ছড়া, কবিতা, সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনধর্মী প্রবন্ধ, সরাসরি আমাদের কাছে তুলে ধরতে পারেন। প্রতিবার তথ্য প্রেরণের সময় আপনার নিজের ছবি ও নাম সহযোগে পাঠাতে হবে আমাদের কাছে।
আমরা আপনার প্রেরিত তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে website এ প্রকাশ করবো।
বি: দ্র: – [ কোনো কিছু প্রদানের সময় মনে রাখবেন আপনার প্রেরিত তথ্য যেনো সম্পূর্ণ রূপে আপনারই হয়, পরবর্তী সময়ে আপনার প্রেরিত তথ্য কোনো প্রকার চুরি বা ভুল প্রমাণিত হলে, আইনত সম্পূর্ণ দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে। ]
আমাদের ওয়েবসাইটে কোন প্রকার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত সংক্রান্ত, জাতি ও বর্ণবিদ্বেষ মুলক খবর প্রকাশ করা হয় না।
I’m not sure why but this site is loading incredibly slow for me.
Is anyone else having this problem or is it a issue on my end?
I’ll check back later on and see if the problem still exists.
🙏 #মেদিনীকথা গ্রুপের তরফ থেকে সকল কাঁথি মহকুমাবাসীর জন্য নিয়ে এলো একটি ওয়েবসাইট – 👇
🔍 http://www.medinikotha.in 🌏
📱 যেখানে কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত এলাকাগুলির তথ্য (ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি, পর্যটন, শিল্পকলা, ইত্যাদি) সর্বসমক্ষে তুলে ধরা হবে। 🖼️
✍🏻 আপনি চাইলে নিজের লেখা (কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস), অঙ্কন, ভাস্কর্য, আমাদের কাছে তুলে ধরতে পারেন, নিজের ছবি ও নাম সহযোগে পাঠাতে পারেন। 👨🏻🎨
👥 আমরা সেই তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে website এ প্রকাশ করবো। 📱
📩 বি: দ্র: – [ কোনো কিছু প্রদানের সময় মনে রাখবেন আপনার প্রেরিত তথ্য যেনো সম্পূর্ণ রূপে আপনারই হয়, পরবর্তী সময়ে আপনার প্রেরিত তথ্য কোনো প্রকার চুরি বা ভুল প্রমাণিত হলে, আইনত সম্পূর্ণ দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে। ] ☠️
🤝 আমাদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার ঠিকানা। 👇
🪀 https://chat.whatsapp.com/I9nEjfgPJJK72ZF3WoKdys 🥏
📧 medinikotha.contai@gmail.com 💌
👨👩👧👦 আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ যদি প্রিয় শহরের বাইরে থাকেন বা দেশের বাইরে থাকেন, আমরা আপনার এলাকার তথ্য পৌঁছে দেবো আপনার হাতের মুঠোয়। 🤳🏻
🗺️ আপনি যেখানে যেভাবেই থাকুন না কেন, গর্বের সাথে আপনার এলাকার তথ্য সর্বসমক্ষে উপস্থাপন করতে পারবেন। 💻
🗼 আমাদের website এ বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যে ওয়েবসাইটের নীচে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। 🏖️
🔅🔆 https://medinikotha.in 🔆🔅