কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর। জেলার নামকরা কলেজের সারিতে রয়েছে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ। এই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ কাঙ্গাল চন্দ্র দাশ এর জীবনাবসান হলো আজ। মৃত্যু কালীন বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।পরিবারে ছিলেন স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে। স্ত্রী ও ছেলে প্রয়াত হয়েছেন আগেই , বড় মেয়ে পেশায় শিক্ষিকা ও ছোটো মেয়ে সেবিকা হিসেবে নিযুক্ত।
গত মাসের ২০ তারিখ নাগাদ কাঁথিতে নিজ ফ্ল্যাটে ব্রেন -হেমারেজ হয়েছিল। মস্তিষ্কে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয়েছিল।অস্ত্রপ্রচার করেও শেষ রক্ষা করা যায় নি। চিকিৎসার জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক ভর্তি করলেও পরে ওই দিন বিকেলে কলকাতা স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে শরীরে অস্ত্রপ্রচার হলে অবনতি দেখে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত হন। অবশেষে শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ১লা সেপ্টেম্বর রাত্রি ৮:১০ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয় কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায়।
১৯৭১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের একটি গ্রামের সন্তান আসানসোল বি ডি কলেজের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।১৯৭৩সালে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের বোটানির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০১ সালে কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ও কলেজ থেকে ২০০৯ সালে অবসর নেন। স্ত্রী ও পুত্র মারা যাওয়ার পর তিনি কাঁথিতে একটি আবাসনে একা থাকতেন। কাঁথি বইমেলার কার্যকরী সভাপতি সহ বিভিন্ন সংঘ সমিতিতে যুক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, লোকপ্রজ্ঞার জেলা সংযোজক ছিলেন। তার মৃত্যুতে কলেজ সহ কাঁথির সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

2 thoughts on “কাঁথি পি কে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ কাঙ্গাল চন্দ্র দাশের জীবনাবসান।”
সংশোধন: কাঙাল চন্দ্র দাশের ব্রেন -হেমারেজ হয়েছিল। মস্তিষ্কে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয়েছিল।অস্ত্রপ্রচার করেও শেষ রক্ষা করা যায় নি।
ধন্যবাদ 🙏 সহায়তা প্রদানের জন্যে 💐