ফাইল চিত্র-
গরিব বলে তোমরা আমাদের
করিও না হেলা,
ধনী-গরিব, এসব কিন্তু
সৃষ্টিকর্তার খেলা।
আজকে তুমি অট্টালিকায়
কালকে কুড়ে ঘরে,
“ফকির” বাদশাহ হতে পারে,
দিন বদলের ঝরে।
ভাগ্যটা আজ তোমার সাথে
আমার থেকে দূরে,
এক নিমিষেই ভাগ্যের চাকা
যেতেই পারে ঘুরে।
ঈশ্বরের অর্থ তুমি
তাদের কর দান,
গরিব অসহায় যারা তোমার কাছে
ঈশ্বরের নামে চান।
দূরাচারণ করিও না
আসলে বারংবার,
ভুলেও কিন্তু করিও না
অর্থের অহংকার!
আমাদের সমাজে অনেক শ্রেনীর মানুষ রয়েছে। কেউবা ধনী,কেউবা মধ্যবিত্ত আর কেউবা নিত্তান্তই গরিব ৷ অনেক শ্রেনীর মানুষ নিয়েই গড়ে ওঠে সমাজ। যাই হোক আসল কথায় আসি এই গল্পটা মুলত নিত্তান্তই গরিব মানুষের প্রতি ধনী মানুষের অত্যাচার, নিপিড়ন ও ধনী গরিবের বৈষম্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।সমাজের ধনী মানুষ গুলো গরীব মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। তারা মনে করে গরিব মানুষ হলো অমানুষ পুশু। তারা সবসময় গরিব মানুষকে হেয়ো চোখে দেখে। গরিবদের অপমান করা তাদের একটা শখ। তারা সবসময় গরীব মানুষকে শাসিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাতে গরিব মানুষ কখনো মাথা তুলে দাড়াতে না পারে।গরিব মানুষ দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করে কাজ করে। যখন তারা ধনী মানুষের বাড়িতে কাজ করতে যায়। তখন ধনী মানুষের মাথায় অনেক বুদ্ধি আসে যে আজ তাদের অপমান করার একটা সুজোগ এলো। সারাদিন কষ্ট করে কাজ করেও তাদের মন ভরাতে পারে না। একটু কাজের ভুল হলেই অনেক অপমানের শিকার হতে হয়।সকাল থেকে কষ্ট করে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে দুপুরের টিফিন খেতে ধনীদের বাড়িতে তখন তাদের মনে অন্য রকম একটা ক্ষোভ আসে যে এসেছে গলা ভর্তি ভাত খেতে। বাড়িতে মাছ মাংস রান্না হলেও কাজের মানুষের পাতে জোটে ডাল আর ভাত। তবু গরিব মানুষ ডাল ভাত খেয়েই আবার কাজে লেগে পরে।
কারন তারা যে গরিব তাদের কষ্ট সহ্য করে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। তাদের ওপর ভরসা করেই থাকে তাদের ছেলে মেয়ে যে আজ পেট ভরে ডাল ভাত খেতে পারব। সেজন্য গরীব মানুষ মুখ বুঝে সব কষ্ট সহ্য করে কাজ করে। রোধের দিনে কাজ করার সময় অনেক কষ্ট হয় সেজন্য বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, কিন্তু সেই বিশ্রাম ধনী ব্যাক্তি সহ্য করতে পারে না। ধনী ব্যাক্তি চেঁচিয়ে বলে উঠে কোনো বিশ্রাম হবে না অনেক কাজ পড়ে আছে যাও কাজ করো। তখন গরিব মানুষ কিছু না বলেই রোধের মাঝে কাজ করতে থাকে।
সকাল থেকে গরুর মত খাটিয়ে সন্ধ্যা বেলা বলে যাও বাড়ি যাও কাজ তো হলোই না। সারাদিন কাজ করেও তাদের মন ভরাতে পারেনা গরিব মানুষ। কষ্ট করে কাজ শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরে স্নান করেই টাকা নিতে যায়।টাকা নেওয়ার সময় অনেক কথা শুনতে হয়। গরিব মানুষ সব কষ্ট সহ্য করে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে খরচ করে তাদের ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেয়।
গরিব মানুষের প্রতিটা দিন এভাবেই কাটে। ধনীদের অত্যাচার মেনে নিতে হয় । কারন তারা কাজ না করলে তাদের ছেলে মেয়েদের মুখে ভাত তুলে দিতে পারবে না। কিন্তু আমাদের উচিত ধনী গরিবের সব ভেদাভেদ ভুলে তাদের মানুষ বলে গন্য করা। কারন তারাও মানুষ তাদের ও জীবন বলে কিছু আছে। তাদের ও ইচ্ছে হয় এক বেলা মাছ মাংস খেতে। কিন্তু আমরা তাদের হেয়ো চোখে দেখি। তাদের অপমান অত্যাচার করে থাকি।
তবে আমরা বলি একদিন এরকম অন্যায় অত্যাচার বন্ধ হবে সেদিন আমরা সুন্দর একটা সমাজ পাবো। তাহলেই মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরী হবে ৷ তৈরি হবে সুন্দর সাজানো গোছানো সমাজ ৷
——————*ধন্যবাদ———————
✍️মহম্মদ শেখ আরেফুল।
2 thoughts on “গরিবের দিনকাল।”
Really, you are exceptional news portal of those pondering always about poor person. Salute to our Medinikotha news portal. Keep on writting this type of thinking. My love with you
ধন্যবাদ এইভাবে আমাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য।
মেদিনীকথা গ্রুপের তরফ থেকে সকল কাঁথি মহকুমাবাসীর জন্য নিয়ে এলো একটি ওয়েবসাইট- https://medinikotha.in
এই ওয়েবসাইটের মূল লক্ষ্য হলো কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত এলাকাগুলির তথ্য যেমন- (স্থানীয় সংবাদ, ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি, পর্যটন, শিল্পকলা, ইত্যাদি) সর্বসমক্ষে তুলে ধরা।
আপনারা আপনাদের পছন্দের কাঁথি মহকুমা এলাকার তথ্য, ঘটনা (ফোটোগ্রাফ ও ভিডিও), আঁকা-ছবি, ছোটোগল্প, অণুগল্প, ছড়া, কবিতা, সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনধর্মী প্রবন্ধ, সরাসরি আমাদের কাছে তুলে ধরতে পারেন। প্রতিবার তথ্য প্রেরণের সময় আপনার নিজের ছবি ও নাম সহযোগে পাঠাতে হবে আমাদের কাছে।
আমরা আপনার প্রেরিত তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে website এ প্রকাশ করবো।
বি: দ্র: – [ কোনো কিছু প্রদানের সময় মনে রাখবেন আপনার প্রেরিত তথ্য যেনো সম্পূর্ণ রূপে আপনারই হয়, পরবর্তী সময়ে আপনার প্রেরিত তথ্য কোনো প্রকার চুরি বা ভুল প্রমাণিত হলে, আইনত সম্পূর্ণ দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে। ]
আমাদের ওয়েবসাইটে কোন প্রকার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত সংক্রান্ত, জাতি ও বর্ণবিদ্বেষ মুলক খবর প্রকাশ করা হয় না।